Thursday, June 11, 2015

শেখ আকিজ উদ্দিন

শেখ আকিজ উদ্দিন
জিরো থেকে হিরো। ১৬ টাকা থেকে হাজার কোটি টাকা। কমলা লেবুর ফেরিওয়ালা থেকে ২২টি শিল্প ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের এমডি। অবিশ্বাস্য এ গল্পের নায়ক সেখ আকিজ উদ্দিন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে পৃথিবীর পাঠশালা থেকে জ্ঞান অর্জন করে তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। ছাই স্পর্শ করে সোনা বানিয়েছেন। ৫০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর নিয়োগকর্তা সেখ আকিজ তিন লাখ মানুষের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে ভেতরে ভেতরে ত্রানকর্তা হয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতির কিংবদন্তী রূপকার সেখ আকিজ মাত্র ১৩ বছর বয়সে শূন্য হাতে ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষী’র বীজ বপন করেছেন, সেই বীজের অঙ্কুরিত বৃক্ষ এখন পল্লবিত-পুস্পিত। যে বৃক্ষের ছায়ায় এখন হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে সেখ আকিজ উদ্দিন আকিজ শিল্প গোষ্ঠি ৯৫০ কোটি টাকা শুল্ক কর সরকারকে প্রদান করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আকিজ জুট মিলকে এশিয়ার অন্যতম রফতানিমুখী পাটকলে পরিণিত করে স্মৃতি হয়ে যাওয়া সোনালী আশকে ফের উজ্জ্বল করেছেন ব্যবসার জাদুকর আকিজ।
সফল ব্যবসায়ী আকিজ উদ্দিন:
সেখ আকিজ উদ্দিনের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিচয় নেই। খুলনার ফুলতলা উপজেলার পেছনে পড়া গ্রাম মধ্যডাঙ্গার এক দরিদ্র পরিবারে সেখ আকিজ উদ্দিন ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন। মা মতিনা বেগম। আকিজ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। অন্যান্য গ্রামের মতো সবুজ শ্যামল মধ্যডাঙ্গা গ্রামে আকিজ তার শৈশব উত্তীর্ন করেছেন। দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অভাবের রাক্ষুসে হা দেখেছেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামের মৌসুমি ফসল কেনাবেচার ছোট পরিসরে ব্যবসা করতেন। দারিদ্রের কারণে আকিজ উদ্দিন এর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। তবে তিনি শিশুকালেই বাবার ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করে আর দারিদ্রের সমুদ্রে সাঁতার কেটে ভেতরে ভেতরে সচেতন ও পরিনত হয়েছিলেন।
বোহেমিয়ান আকিজ:
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৩৪২ সালে কিশোর আকিজ প্রিয় মধ্যডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে জীবিকার অন্বেষণে বেরিয়ে পড়েন। মাত্র ১৬ টাকা হাতে নিয়ে দুরন্ত কিশোর ট্রেনে চেপে বসেন। জীবন সংগ্রামের অজানা পথে পা দিয়ে তিনি এক পর্যায়ে কলকাতা আসেন। বড় শহর। কোথায় তার জায়গা মিলবে? কে তাকে কোলে তুলে নেবে? এক পর্যায়ে আকিজ শেয়ালদহ রেলস্টেশনে তার ঠিকানা খুঁজে নেন। এখানেই অনিশ্চয়তার মধ্যে তার দিন যাপন। একবেলা ছাতু খেয়ে আকিজ কলকাতা শহরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নের জাল বুনেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অবলম্বন পাননি। এভাবেই কেটেছে কিছুদিন। তারপর শিয়ালদহের জাকারিয়া হোটেল মালিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হোটেলে তার আশ্রয় মেলে। কিশোর আকিজ পাইকারি বাজার থেকে কমলা লেবু কিনে হাওড়া ব্রীজে ফেরি করে বিক্রি শুরম্ন করেন। সকাল সন্ধ্যা কমলা লেবুর ফেরিওয়ালা হয়ে পথে পথে ঘুরেছেন। ক্লান্ত আকিজ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু তার ঘুম আসে না। তিনি কেবল স্বপ্ন বুনতে থাকেন। এরপর আকিজ কমলা লেবুর সামান্য জমানো টাকা দিয়ে একটি অভিনব মুদির দোকান দেন। ভ্যান গাড়ির ওপর সওদা। ভ্রাম্যমান এ দোকানের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ছয় আনা। এ কারণে তিনি এ দোকানের নাম রাখেন ‘নিলামওয়ালা ছ’আনা’।
ভালোই চলছিলো তার দোকান। হঠাৎ একদিন অবৈধ দোকান দেয়ার অভিযোগে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় তিন দিনের জেল পাঁচ টাকা জরিমানা। জেল থেকে মুক্ত হয়ে আকিজ আর দোকানে বসেননি। দোকানটি তিনি বিক্রি করে দেন। ফের অনিশ্চয়তা। এভাবে কিছুদিন কলকাতার পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। খড়কুটা আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছেন তিনি। একদিন তার পরিচয় হয় পেশোয়ারের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আকিজ ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে পড়ি দেন পেশোয়ার। অল্প দিনে পশতু ভাষা শিখে ফের অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করেন ফলের ব্যবসা। দুই বছর এ ব্যবসা করে তার লাভ হয় ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে আকিজ বাড়ির টানে, বাবা মায়ের স্নেহ মমতার টানে ফিরে আসেন নিজ গ্রাম মধ্যডাঙ্গায়। বাড়ি ফেরার পর অল্পদিনের ব্যবধানে তার বাবা-মা মারা যান। আকিজ ফের নি:সঙ্গ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি একই গ্রামের সখিনা খাতুনকে বিয়ে করেন।
বিড়ি ব্যবসায়ের উত্থান পর্ব:
১৯৫২ সালে আকিজ তার বন্ধুর বাবা ‘বিধু’ বিড়ির মালিক বিধু ভূষনের অনুগ্রহ-সহায়তা-পরামর্শে বিড়ির ব্যবসা শুরম্ন করেন। এ ব্যবসাতে তিনি বেশ সফল হন। বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে তিনি একটি দোকান খুলে বসেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে এক রাতে দোকানটি ছাই হয়ে যায়। মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ধৈর্যশীল আকিজ ফের ঘুরে দাঁড়ান। তিনি স্থানীয় মহাজনদের সহায়তায় আবার দোকান নির্মাণ করেন। একই সঙ্গে শুরু করেন ধান, পাট, চাল, ডালের ব্যবসা। এক পর্যায়ে ব্যবসার প্রসারের জন্য আকিজ যশোরের নাভারন এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরম্ন করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাহের বিশ্বাস আকিজকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। আকিজ আর পেছনে ফিরে তাকাননি। তিনি কেবল সামনে তাকিয়েছেন। নাভারন পুরোনো বাজারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আজকের সবচেয়ে বড় বিড়ি তৈরির কারখানা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। এরপর ১৯৬০ সালে অভয়নগরে অত্যাধুনিক চামড়ার কারখানা এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ১৯৬৬ সালে ঢাকা টোবাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ, ১৯৭৪ সালে আকিজ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ১৯৮০ সালে আকিজ ট্রান্সপোর্টিং এজেন্সি লিমিটেড, ১৯৮৬ সালে জেস ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, ১৯৯২ সালে আকিজ ম্যাচ ফ্যাক্টরি লিমিটেড, ১৯৯৪ সালে আকিজ জুট মিল লিমিটেড, ১৯৯৫ সালে আকিজ সিমেন্ট কেম্পানী লিমিটেড, একই বছর আকিজ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড, ১৯৯৬ সালে আকিজ পার্টিকল বোর্ড মিলস লিমিটেড, ১৯৯৭ সালে আকিজ হাউজিং লিমিটেড, ১৯৯৮ সালে সাভার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ২০০০ সালে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, একই বছর আকিজ অনলাইন লিমিটেড, নেবুলা লিমিটেড, ২০০১ সালে আকিজ কর্পোরেশন লিমিটেড, আকিজ ইন্সটিটিউট এন্ড টেকনলজি লিমিটেড, ২০০৪ সালে আকিজ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ২০০৫ সালে আকিজ পেপার মিলস্ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে কিংবদন্তির নায়কে পরিনত হন।

সমাজসেবক আকিজ উদ্দিন:
ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সেখ আকিজ উদ্দিন সমাজ সেবায় নিজেকে যুক্ত করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানব কল্যাণে তিনি যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া ছাড়াও ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে মুক্ত হাতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ২০০০ সালে যশোরে ভয়াবহ বন্যায় আকিজ ত্রান নিয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন শার্শা-ঝিকরগাছা এলাকায়। এ সময় তিনি নিজে তদারক করে প্রায় এক কোটি টাকার ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছেন। এ প্রসঙ্গে বেনাপোলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সি এন্ড এফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মতিয়ার রহমান বলেন, “আকিজ সাহেবের সাথে আমি ১৯৭৮ সাল থেকে ব্যবসা করছি। তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন। ২০০০ সালে বন্যায় তার অবদানের কথা আমরা কোনোদিন ভুলবো না। তিনি আমাদের জন্য আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মসজিদ নির্মাণ করেছেন। স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা গরীবের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এ কারণে হাজার হাজার মানুষ তার জানাযায় অংশ নিয়েছেন”। আকিজ উদ্দিনের অন্যতম সৃষ্টি হচ্ছে আদ্ব-দীন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ট্রাস্ট দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও আরও কিছু জেলায় মানব কল্যাণ, স্বাস্থ্য সেবা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখেছে। এছাড়া তিনি ১৯৮৯ সালে আদ্ব-দীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার, ২০০৪ সালে আদ্ব-দীন ফাউন্ডেশন, ১৯৮০ সালে আদ্ব-দীন শিশু কিশোর নিকেতন, ১৯৮৫ সালে আদ্ব-দীন নার্সিং ইন্সটিটিউট, আদ্ব-দীন ফোরকানিয়া প্রজেক্ট, ১৯৯২ সালে আকিজ কলেজিয়েট স্কুল, ১৯৯৮ সালে সখিনা স্কুল ফর গার্লস প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন রকম সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন।
পারিবারিক জীবন:
কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও সেখ আকিজ উদ্দিন খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজের জীবন অভিজ্ঞতার আলোয় তিনি তাদের আলোকিত করেছেন। আকিজের ১৫ সন্তান। ১০ ছেলে ৫ মেয়ে। বড় ছেলে ডা. শেখ মহিউদ্দিন আদ-দ্বীনের নির্বাহী পরিচালক। এছাড়া শেখ মোমিন উদ্দিন, শেখ আফিল উদ্দিন, শেখ আমিন উদ্দিন, আজিজ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, বশির উদ্দিন, জামিল উদ্দিন আকিজ শিল্প গ্রুপের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন। সেখ আফিল উদ্দিন ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত। ছোট দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও শামিম উদ্দিন লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ছেলেদের শিক্ষা দেওয়াই শুধু নয় তাদের নামের বানানের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এনেছেন আকিজ উদ্দিন। ৫ মেয়ে সকিনা, শাহিনা, আখি, নাজমা ও নাসিমা। এরা সবাই বিবাহিত। ১৫ সন্তান, স্ত্রী, ৫০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী, হাজার হাজার শুভাকাঙ্ক্ষী, গুনগ্রাহী রেখে ৭৭ বছর বয়সে সেখ আকিজ উদ্দিন গত ১০ অক্টোবর ২০০৬ ইন্তেকাল করেন। আকিজ উদ্দিনের বড় ছেলে শেখ মহিউদ্দিন বাবার জীবন সংগ্রাম খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি তার বাবা সম্পর্কে বলেন, বাবার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ছিল না ঠিকই, তারপরও তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছিলেন। আমরা সন্তানরা ছাড়াও তার প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক এমবিএ উচ্চ শিক্ষিত মানুষ জ্ঞান অর্জন করে। তিনি তার জীবন যাপনের বাস্তব জ্ঞানে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। তার দুরদর্শিতার কারণেই আজ আকিজ গ্রুপ দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেশে বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। আকিজ উদ্দিনের আরেক সন্তান সেখ আফিল উদ্দিন বাবার স্মৃতিচারন করে বলেন, বাবার মধ্যেকোনো আত্মঅহমিকাবোধ ছিল না। তিনি তার বিরুদ্ধের লোকদেরই আপন করে নিতেন। তিনি সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতেন। আকিল আরো বলেন, নিজে সাধারণ জীবনের যাপনের পাশাপাশি আমাদেরও প্রাচুর্যের মধ্যে নয়, খুব সাধারণভাবে মানুষ করেছেন। যে কোনো নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় ব্যবসার লাভ ক্ষতির হিসাব করে অদ্ভুত এক দূরদর্শিতায়। তিনি আগামীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রকল্পকে সফল করে তুলতেন। সততা, ধৈর্যশীলতা, নিজস্ব মেধা, সহনশীলতার কারণেই তিনি আকিজ গ্রুপকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছেন। আদ-দ্বীনের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম মুকুল আকিজ উদ্দিন সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, স্যার খুব কম কথা বলতেন। সাধারণ জীবন যাপনের পাশাপাশি তিনি আমাদের কথা শুনতেন। আদ্ব-দীন সম্পর্কে সব সময় খোজ-খবর নিতেন। তার ভাবনা ছিল আদ-দ্বীনের কর্মকান্ড সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার।

Tuesday, June 2, 2015

HOMER

Beyond a few fragments of information, historians and classicists can only speculate about the life of the man who composed the Iliad and the Odyssey. The details are few. We do not even know the century in which he lived, and it is difficult to say with absolute certainty that the same poet composed both works. The Greeks attributed both of the epics to the same man, and we have little hard evidence that would make us doubt the ancient authorities, but uncertainty is a constant feature of scholarly work dealing with Homer's era of Greek history.
The Greeks hailed him as their greatest poet, as well as their first. Although the Greeks recognized other poets who composed in Greek before Homer, no texts from these earlier poets survived. Perhaps they were lost, or perhaps they were never written down?Homer himself was probably on the cusp between the tradition of oral poetry and the new invention of written language. Texts of the Iliad and the Odyssey existed from at least the sixth century BC, and probably for a considerable span of time before that. These two great epic poems also had a life in performance: through the centuries, professional artists made their living by reciting Homer, performing the great epics for audiences that often know great parts of the poem by heart.
It is impossible to pin down with any certainty when Homer lived. Eratosthenes gives the traditional date of 1184 BC for the end of the Trojan War, the semi-mythical event which forms the basis for the Iliad. The great Greek historian Herodotus put the date at 1250 BC. These dates were arrived at in a very approximate manner; Greek historians usually used genealogy and estimation when trying to find the dates for events in the distant past. But Greek historians were far less certain about the dates for Homer's life. Some said he was a contemporary of the events of the Iliad, while others placed him sixty or a hundred or several hundred years afterward. Herodotus estimated that Homer lived and wrote in the ninth century BC. He almost certainly lived in one of the Greek city-states in Asia Minor. All of the traditional sources say that he was blind.
Over the course of millennia of scholarly speculation, prevailing theories about Homer and his relationship to his work have had time to change and change again. At various times over the centuries, scholars have suggested that he was only a transmitter, or that he never existed, and the epics attributed to him were the patchwork effort of generations of bards. Modern scholars, however, tend to accept that the Iliad and the Odyssey are more than amalgams handed down from antiquity, and that there was in fact a great poet who had a hand in creating these epics in the forms we know today. Current scholarship holds that Homer was a great bard who lived between the eighth and seventh centuries BC. Although there is little doubt that Homer inherited a massive amount of material from generations of bards before him, most scholars believe now that Homer was an innovator and an original artist as well as a transmitter. Writing probably played a role in the composition of his great poems. Current theories depict Homer as a master of oral poetry who used the new invention of writing to aid him in composing epics on a grander scale than had ever been done before. There are signs in the Iliad that might suggest unfinished revision; these massive projects may have been reworked again and again over the course of the poet's whole life. A performer as well as a poet, Homer may have composed the poems through a mixture of utilizing old material, writing and revising, and oral improvisation.
Little can be known with certainty. But even though the details of Homer's life remain?and probably will always remain?an enigma, his great epics come down to us intact. His works have formed a foundation for all the Western literature that has followed, and his characters and stories have had an impact on three thousand years' worth of readers. Facts about the poet's life can do little to add to that legacy. Legend says that as a child, Alexander the Great slept with a copy of the Iliad under his pillow?and the fact that Alexander was neither the first nor the last boy to do so says more about Homer's genius than any biography could, no matter how detailed or complete.
Source: http://www.gradesaver.com/author/homer

Tuesday, May 26, 2015

Thomas Alva Edison


Thomas Edison’s Top 5 Tips for Success

Thomas Edison
Thomas Alva Edison was one of the most famous and hard-working inventors in history. When he died in 1931 he held 1093 patents in his name (though a lot of his inventions were collaborations).
Some of his most used inventions are of course the light bulb and the gramophone.
He also did quite a bit work to improve x-ray machines for while (until he almost lost his own eye-sight and an assistant died due to radiation poisoning). And he had a AC/DC-current war with the odd and fascinating inventor Nikola Tesla.
Here are a few of my favourite tips from Edison. They are all about success. And what kind of work and mindset achieving such a thing may require.
“Many of life’s failures are people who did not realize how close they were to success when they gave up.”
One of the problems in life is that people just give up too soon. I think quite a big bit of this because of social programming and the expectations set by society. It’s seen as pretty normal to try once or maybe a few times and then give up.
There is also a ton of products, books and commercials that promises us that we can “Earn 20000 dollars in just 4 weeks” or “Easily lose 30 pounds in 30 days!”.
And we hear these messages over and over throughout life.
No wonder it’s easy to fall into the trap of believing that everything should work out after about three tries or so.
When the promise of a quick fix is sold to us all the time and people around us are buying into it then it becomes easy just do the same thing. And align our expectations of the world around how things “should” work rather than how they work.
If one does not give up so quickly but tries perhaps 20-30 times or more there is a pretty good chance that success will come. If one keeps at it for not 3 weeks but 6 months then the likelihood of success often increases.
If not, then you may spend a lot of time in a cycle where you try a new quick fix, get discouraged quickly and give up, spend some cash on the next quick fix and getting overly enthusiastic and then continue the cycle by jumping from one magic bullet to another, never achieving much of a result. You can read more about this problem in One Big Mistake a Lot of People Make.
“I have not failed. I’ve just found 10,000 ways that won’t work.”
Now, how do you reframe failure? How do you look at it so you don’t feel overwhelmed and give up? Well, you can look at failure as a part of a process. You look at it as ways that won’t work. You draw lessons from those ways. Then you let that go, focus on the present and try again (this time perhaps in a different way).
If you look at failure as something big, like it’s the end of the world you’ll probably be quite a bit afraid of it. And so it can feel too painful to go on after a few failures. Or you may never even try, since your mind is projecting all these horrible and painful future scenarios of what will happen if you try and fail.
Also, if you come from a place of abundance then failure has less power over you. Failure can be really useful if you learn to redefine it for yourself. The key is to develop an abundance mentality – where there is always an abundance of opportunities – instead of a more common scarcity mentality where there is always a lack. If you start to think about your world this way failure becomes less painful and the fear of missteps lessens.
Because with an abundance mentality you believe that there are more good opportunities out there even if you experience failure. So you are less inclined to give into fear and to pull away from taking a chance.
Failure still hurts even if you think about things this way. But then you think about what you can learn from the failure. And then you start over again. And in retrospect you often discover that your previous failure provided some very useful, perhaps even necessary lessons, for your latest project to grow as well as it does.
This way – seeing it as a process and have an abundance-mentality – is one way to reframe failure to keep yourself from giving up. If you look at it this way you’ll be less prone to lie down and just give up.
“The value of an idea lies in the using of it.”
Useful information is good. But you have to put it to use sometime or you’ll never reap any benefits or success. This is a pretty common problem when you for instance get interested in personal development. You get a lot of books, programs etc. and you study them. And then you get more.
Always looking for the magic bullet that will give you success without you having to do anything. Confusing yourself and feeling like you are making progress by reading another book.
That emotional high is dangerous because it can fool you into thinking that things are progressing.
But then a few months later nothing much has happened, except you have a lot of knowledge (and have probably forgotten half of it because your mind couldn’t retain it because you weren’t putting it into action). To get results you need to take action. That’s also the best way to really understand the information you have absorbed and possibly find ways to tweak and use it in an even better way for yourself.
“Being busy does not always mean real work. The object of all work is production or accomplishment and to either of these ends there must be forethought, system, planning, intelligence, and honest purpose, as well as perspiration. Seeming to do is not doing.”
But just going for it, taking action and doing something isn’t enough. You have to ask yourself if what you are doing is useful? Or is it just another way to keep yourself busy, to keep yourself from doing what you really want to do?
You need to think about what you really want to do. You need to make plans. Then throughout your normal day you can remind yourself, by for instance using external reminders like written notes, to stay on track. To not get lost on the wrong track or in the busywork that is perhaps a normal routine or an easy escape from the things you’d like to do but that require more perspiration.
“Genius is one percent inspiration and ninety-nine percent perspiration.”
There is a myth that geniuses mostly just are geniuses and can do great things pretty much as easily as you and I tie our shoelaces. But what is seldom mentioned or seen is how much the really successful people work. And how far the people that just practise, practise, practise can go.
I think natural talent certainly plays a role. But I also think that it can become an excuse to slack off and never come close to your potential. To find something you can become really, really good at – perhaps even be regarded as genius at – I think you need to find something you really, really like to do. Otherwise, your inner motivation and passion will run out and you’ll probably show up less and less. Until you one day just give it up.
Maybe it wasn’t the thing for you. Maybe you grew apart from it.
And if that happens then you can try to find another thing that you really, really like to do.
If you like this article, please give it a thumb up in Stumbleupon. Thanks a lot! 


Source: http://www.positivityblog.com/index.php/2007/12/05/thomas-edisons-top-5-tips-for-success/ 

Wednesday, May 20, 2015

It seems impossible...


Nelson Mandela

  • Why is Nelson Mandela famous?

    A leader of his people
    Nelson Mandela was the first black President of South Africa. He spent 27 years in prison for trying to overthrow the pro-apartheid government. After he left prison, he worked to achieve human rights and a better future for everyone in South Africa.

    When did he live?
    Nelson Mandela was born in 1918. He was in prison from 1962 to 1990. He became President of South Africa in 1994, and retired in 1999. Nelson Mandela died on 5 December 2013 following a lung illness.

    Why is he famous?
    Nelson Mandela became famous for his long fight against bad government and racial prejudice. He became a hero to people all over the world. As South Africa's President, he was respected for his courage and wisdom in bringing people together to live in peace.
    • The young Mandela

      Where was he born?
      Rolihlahla Mandela was born on 18 July 1918. He was later given the name Nelson by a teacher at school.

      He was born in the Transkei, part of South Africa. The Transkei has mountains, valleys and grasslands called savannas. On a map, you can find it in the southeast (bottom right) corner of South Africa.
      Growing up
      Mandela's father Henry was a chief of the Tembu people. His mother was Nosekeni Fanny. The Mandelas were related to the Tembu royal family.

      When Nelson was 9, his father died. He was looked after by Jongintaba Dalindyebo, who was regent (acting chief) of the Tembu.
      School and college
      Nelson went to a mission school, and then to college. He was good at school work. He also enjoyed boxing and running. At Fort Hare University, he studied law. One of his friends there was Oliver Tambo. Nelson left the university in 1939, after student protests about the way it was run.

      What job did he choose?
      Mandela's family had chosen a wife for him. But he did not want an arranged marriage. So he left for the city of Johannesburg. He went on with his studies, and became a lawyer in 1942.
      • Problems in South Africa

        South Africa's history
        Most South Africans are black. There are also people of European and Asian backgrounds, and people of mixed race.

        Dutch people set up the first white colony in South Africa in 1652. Later British settlers came. Dutch farmers called themselves 'Boers', from a Dutch word meaning 'farmers'. They spoke a language called Afrikaans. Most other white settlers spoke English. Black people spoke Bantu languages such as isiNdebele and isiZulu.
        Britain and South Africa
        Britain took over the Dutch colony in 1815. South Africa became part of the British Empire. Gold was found in 1886. With gold and good farmland, the country was rich.

        But it was not peaceful. Whites and blacks fought over the land. There were wars between the Boers and the British. The Boers wanted their own country.
        How South Africa was ruled
        When Mandela was growing up, black people had little say in how South Africa was run. The government was whites-only. Most black people were poor. They worked as servants. They worked on farms, and in factories and gold mines.

        What was the ANC?
        In 1944, Nelson Mandela joined the African National Congress or ANC. The ANC wanted black South Africans to have the same human rights as whites.

        In 1948, the South African government made new laws to keep white people and black people apart. The new system was called 'apartheid'.
      • Struggle for Freedom

        What was apartheid?
        Apartheid (say A-PART-HITE) forced white and non-white people to live in separate areas. Non-white people meant black people, people from Asia and people of mixed race.

        A white person and a black person could not marry. Black people and white people could not share a table in a restaurant, or sit together on a bus. Black children and white children went to different schools. Sports teams were all-white or all-black, never mixed.
        Mandela makes a stand
        Mandela and Oliver Tambo set up South Africa's first black law firm. Poor people came to them for help.

        Mandela led young people in the ANC. Many white people, as well as black people, spoke out against apartheid. Mandela admired Gandhi, who had used peaceful protest in India. Perhaps peaceful protest could get rid of apartheid, without fighting?
        But to speak out was dangerous. In 1956, Mandela and 155 other people were arrested for treason. After a trial lasting five years, he was set free in 1961.
        What happened at Sharpeville? 
        In 1960, people held a demonstration against apartheid at Sharpeville, near Johannesburg. The police shot dead 69 black people. The government blamed the ANC, and banned it.

        Mandela became leader of a secret army, known as Umkhonto we Sizwe or 'Spear of the Nation'. He was hunted by the police, and had to hide and use disguises. He travelled to other countries to ask for help.
        Mandela goes to jail
        In 1961 South Africa left theCommonwealth. Millions of people in other countries supported the anti-apartheid movement. Many nations stopped trade with South Africa. Sports teams and entertainers refused to go there.

        Still the government refused to change. In 1962, Nelson Mandela was arrested again. He was accused ofsabotage and plotting to overthrow the government. In 1964, aged 46, he was given a life sentence
        • President Mandela

          Robben Island
          Mandela was sent to the prison on Robben Island. Other ANC leaders in prison there included Walter Sisulu. Oliver Tambo had left South Africa to live abroad.

          Mandela spent 18 years on Robben Island. He had to do hard labour. He was allowed one visitor every 6 months. He was later moved to another prison.
          Free Nelson Mandela!
          Mandela became the most famous prisoner in the world. He did not give up. Even the prison guards admired him.

          At last, in 1988, the South African government began to make changes. One change was to let black students into 'white' universities. From around the world, the calls got louder. Free Nelson Mandela!
          Mandela leaves prison
          In 1990, South Africa's new President FW de Klerk set Nelson Mandela free. Mandela and de Klerk agreed: no more fighting. Mandela called on all South Africans to work together in peace.

          Mandela becomes President
          In 1991, Mandela became leader of the ANC. In the 1994 elections, all black people in South Africa were able to vote for the first time. The ANC won the election. A new government took over. In May 1994, Nelson Mandela became South Africa's first black president.
        • World Statesman

          The rainbow nation
          Another famous South African, Archbishop Desmond Tutu, called South Africa a 'rainbow nation'. Nelson Mandela also spoke of it this way. Its people were of all races and colours, working together.

          In 1995, South Africa was host for the rugby World Cup. President Mandela wore a Springbok rugby shirt. The springbok antelope is South Africa's national animal. South Africa's rugby team, the Springboks, had been all-white. Mandela wore the shirt to help bring white and black together. Sport helped to do this.
          Honours and a book
          Mandela was welcomed around the world as a great statesman (world leader). He was given many honours. In 1993, Nelson Mandela and FW de Klerk shared the Nobel Peace Prize.

          Mandela wrote a book about his struggle called 'Long Walk to Freedom'.
          Family life
          Mandela married three times. His first marriage ended in 1957. He and his second wife, Winnie, divorced in 1996. At the age of 81, he married Grace Machel.

          An inspiration to others
          Nelson Mandela retired as President in 1999. From 2004, he gave up politics, to enjoy a quiet life with his family.

          Nelson Mandela: an inspiration for people all over the world
      • Source: http://www.bbc.co.uk/schools/primaryhistory/famouspeople/nelson_mandela/