শেখ আকিজ উদ্দিন
জিরো থেকে হিরো। ১৬ টাকা থেকে হাজার কোটি টাকা। কমলা লেবুর ফেরিওয়ালা থেকে ২২টি শিল্প ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের এমডি। অবিশ্বাস্য এ গল্পের নায়ক সেখ আকিজ উদ্দিন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে পৃথিবীর পাঠশালা থেকে জ্ঞান অর্জন করে তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। ছাই স্পর্শ করে সোনা বানিয়েছেন। ৫০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর নিয়োগকর্তা সেখ আকিজ তিন লাখ মানুষের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে ভেতরে ভেতরে ত্রানকর্তা হয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতির কিংবদন্তী রূপকার সেখ আকিজ মাত্র ১৩ বছর বয়সে শূন্য হাতে ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষী’র বীজ বপন করেছেন, সেই বীজের অঙ্কুরিত বৃক্ষ এখন পল্লবিত-পুস্পিত। যে বৃক্ষের ছায়ায় এখন হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে সেখ আকিজ উদ্দিন আকিজ শিল্প গোষ্ঠি ৯৫০ কোটি টাকা শুল্ক কর সরকারকে প্রদান করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আকিজ জুট মিলকে এশিয়ার অন্যতম রফতানিমুখী পাটকলে পরিণিত করে স্মৃতি হয়ে যাওয়া সোনালী আশকে ফের উজ্জ্বল করেছেন ব্যবসার জাদুকর আকিজ।
সফল ব্যবসায়ী আকিজ উদ্দিন:
সেখ আকিজ উদ্দিনের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিচয় নেই। খুলনার ফুলতলা উপজেলার পেছনে পড়া গ্রাম মধ্যডাঙ্গার এক দরিদ্র পরিবারে সেখ আকিজ উদ্দিন ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন। মা মতিনা বেগম। আকিজ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। অন্যান্য গ্রামের মতো সবুজ শ্যামল মধ্যডাঙ্গা গ্রামে আকিজ তার শৈশব উত্তীর্ন করেছেন। দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অভাবের রাক্ষুসে হা দেখেছেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামের মৌসুমি ফসল কেনাবেচার ছোট পরিসরে ব্যবসা করতেন। দারিদ্রের কারণে আকিজ উদ্দিন এর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। তবে তিনি শিশুকালেই বাবার ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করে আর দারিদ্রের সমুদ্রে সাঁতার কেটে ভেতরে ভেতরে সচেতন ও পরিনত হয়েছিলেন।
সেখ আকিজ উদ্দিনের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিচয় নেই। খুলনার ফুলতলা উপজেলার পেছনে পড়া গ্রাম মধ্যডাঙ্গার এক দরিদ্র পরিবারে সেখ আকিজ উদ্দিন ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন। মা মতিনা বেগম। আকিজ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। অন্যান্য গ্রামের মতো সবুজ শ্যামল মধ্যডাঙ্গা গ্রামে আকিজ তার শৈশব উত্তীর্ন করেছেন। দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অভাবের রাক্ষুসে হা দেখেছেন। বাবা শেখ মফিজ উদ্দিন ছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামের মৌসুমি ফসল কেনাবেচার ছোট পরিসরে ব্যবসা করতেন। দারিদ্রের কারণে আকিজ উদ্দিন এর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। তবে তিনি শিশুকালেই বাবার ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করে আর দারিদ্রের সমুদ্রে সাঁতার কেটে ভেতরে ভেতরে সচেতন ও পরিনত হয়েছিলেন।
বোহেমিয়ান আকিজ:
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৩৪২ সালে কিশোর আকিজ প্রিয় মধ্যডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে জীবিকার অন্বেষণে বেরিয়ে পড়েন। মাত্র ১৬ টাকা হাতে নিয়ে দুরন্ত কিশোর ট্রেনে চেপে বসেন। জীবন সংগ্রামের অজানা পথে পা দিয়ে তিনি এক পর্যায়ে কলকাতা আসেন। বড় শহর। কোথায় তার জায়গা মিলবে? কে তাকে কোলে তুলে নেবে? এক পর্যায়ে আকিজ শেয়ালদহ রেলস্টেশনে তার ঠিকানা খুঁজে নেন। এখানেই অনিশ্চয়তার মধ্যে তার দিন যাপন। একবেলা ছাতু খেয়ে আকিজ কলকাতা শহরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নের জাল বুনেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অবলম্বন পাননি। এভাবেই কেটেছে কিছুদিন। তারপর শিয়ালদহের জাকারিয়া হোটেল মালিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হোটেলে তার আশ্রয় মেলে। কিশোর আকিজ পাইকারি বাজার থেকে কমলা লেবু কিনে হাওড়া ব্রীজে ফেরি করে বিক্রি শুরম্ন করেন। সকাল সন্ধ্যা কমলা লেবুর ফেরিওয়ালা হয়ে পথে পথে ঘুরেছেন। ক্লান্ত আকিজ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু তার ঘুম আসে না। তিনি কেবল স্বপ্ন বুনতে থাকেন। এরপর আকিজ কমলা লেবুর সামান্য জমানো টাকা দিয়ে একটি অভিনব মুদির দোকান দেন। ভ্যান গাড়ির ওপর সওদা। ভ্রাম্যমান এ দোকানের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ছয় আনা। এ কারণে তিনি এ দোকানের নাম রাখেন ‘নিলামওয়ালা ছ’আনা’।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৩৪২ সালে কিশোর আকিজ প্রিয় মধ্যডাঙ্গা গ্রাম ছেড়ে জীবিকার অন্বেষণে বেরিয়ে পড়েন। মাত্র ১৬ টাকা হাতে নিয়ে দুরন্ত কিশোর ট্রেনে চেপে বসেন। জীবন সংগ্রামের অজানা পথে পা দিয়ে তিনি এক পর্যায়ে কলকাতা আসেন। বড় শহর। কোথায় তার জায়গা মিলবে? কে তাকে কোলে তুলে নেবে? এক পর্যায়ে আকিজ শেয়ালদহ রেলস্টেশনে তার ঠিকানা খুঁজে নেন। এখানেই অনিশ্চয়তার মধ্যে তার দিন যাপন। একবেলা ছাতু খেয়ে আকিজ কলকাতা শহরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নের জাল বুনেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অবলম্বন পাননি। এভাবেই কেটেছে কিছুদিন। তারপর শিয়ালদহের জাকারিয়া হোটেল মালিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হোটেলে তার আশ্রয় মেলে। কিশোর আকিজ পাইকারি বাজার থেকে কমলা লেবু কিনে হাওড়া ব্রীজে ফেরি করে বিক্রি শুরম্ন করেন। সকাল সন্ধ্যা কমলা লেবুর ফেরিওয়ালা হয়ে পথে পথে ঘুরেছেন। ক্লান্ত আকিজ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে কাগজ বিছিয়ে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু তার ঘুম আসে না। তিনি কেবল স্বপ্ন বুনতে থাকেন। এরপর আকিজ কমলা লেবুর সামান্য জমানো টাকা দিয়ে একটি অভিনব মুদির দোকান দেন। ভ্যান গাড়ির ওপর সওদা। ভ্রাম্যমান এ দোকানের প্রতিটি দ্রব্যের দাম ছয় আনা। এ কারণে তিনি এ দোকানের নাম রাখেন ‘নিলামওয়ালা ছ’আনা’।
ভালোই চলছিলো তার দোকান। হঠাৎ একদিন অবৈধ দোকান দেয়ার অভিযোগে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় তিন দিনের জেল পাঁচ টাকা জরিমানা। জেল থেকে মুক্ত হয়ে আকিজ আর দোকানে বসেননি। দোকানটি তিনি বিক্রি করে দেন। ফের অনিশ্চয়তা। এভাবে কিছুদিন কলকাতার পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। খড়কুটা আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছেন তিনি। একদিন তার পরিচয় হয় পেশোয়ারের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আকিজ ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে পড়ি দেন পেশোয়ার। অল্প দিনে পশতু ভাষা শিখে ফের অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করেন ফলের ব্যবসা। দুই বছর এ ব্যবসা করে তার লাভ হয় ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে আকিজ বাড়ির টানে, বাবা মায়ের স্নেহ মমতার টানে ফিরে আসেন নিজ গ্রাম মধ্যডাঙ্গায়। বাড়ি ফেরার পর অল্পদিনের ব্যবধানে তার বাবা-মা মারা যান। আকিজ ফের নি:সঙ্গ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি একই গ্রামের সখিনা খাতুনকে বিয়ে করেন।
বিড়ি ব্যবসায়ের উত্থান পর্ব:
১৯৫২ সালে আকিজ তার বন্ধুর বাবা ‘বিধু’ বিড়ির মালিক বিধু ভূষনের অনুগ্রহ-সহায়তা-পরামর্শে বিড়ির ব্যবসা শুরম্ন করেন। এ ব্যবসাতে তিনি বেশ সফল হন। বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে তিনি একটি দোকান খুলে বসেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে এক রাতে দোকানটি ছাই হয়ে যায়। মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ধৈর্যশীল আকিজ ফের ঘুরে দাঁড়ান। তিনি স্থানীয় মহাজনদের সহায়তায় আবার দোকান নির্মাণ করেন। একই সঙ্গে শুরু করেন ধান, পাট, চাল, ডালের ব্যবসা। এক পর্যায়ে ব্যবসার প্রসারের জন্য আকিজ যশোরের নাভারন এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরম্ন করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাহের বিশ্বাস আকিজকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। আকিজ আর পেছনে ফিরে তাকাননি। তিনি কেবল সামনে তাকিয়েছেন। নাভারন পুরোনো বাজারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আজকের সবচেয়ে বড় বিড়ি তৈরির কারখানা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। এরপর ১৯৬০ সালে অভয়নগরে অত্যাধুনিক চামড়ার কারখানা এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ১৯৬৬ সালে ঢাকা টোবাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ, ১৯৭৪ সালে আকিজ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ১৯৮০ সালে আকিজ ট্রান্সপোর্টিং এজেন্সি লিমিটেড, ১৯৮৬ সালে জেস ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, ১৯৯২ সালে আকিজ ম্যাচ ফ্যাক্টরি লিমিটেড, ১৯৯৪ সালে আকিজ জুট মিল লিমিটেড, ১৯৯৫ সালে আকিজ সিমেন্ট কেম্পানী লিমিটেড, একই বছর আকিজ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড, ১৯৯৬ সালে আকিজ পার্টিকল বোর্ড মিলস লিমিটেড, ১৯৯৭ সালে আকিজ হাউজিং লিমিটেড, ১৯৯৮ সালে সাভার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ২০০০ সালে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, একই বছর আকিজ অনলাইন লিমিটেড, নেবুলা লিমিটেড, ২০০১ সালে আকিজ কর্পোরেশন লিমিটেড, আকিজ ইন্সটিটিউট এন্ড টেকনলজি লিমিটেড, ২০০৪ সালে আকিজ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ২০০৫ সালে আকিজ পেপার মিলস্ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে কিংবদন্তির নায়কে পরিনত হন।
১৯৫২ সালে আকিজ তার বন্ধুর বাবা ‘বিধু’ বিড়ির মালিক বিধু ভূষনের অনুগ্রহ-সহায়তা-পরামর্শে বিড়ির ব্যবসা শুরম্ন করেন। এ ব্যবসাতে তিনি বেশ সফল হন। বেজেরডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে তিনি একটি দোকান খুলে বসেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে এক রাতে দোকানটি ছাই হয়ে যায়। মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ধৈর্যশীল আকিজ ফের ঘুরে দাঁড়ান। তিনি স্থানীয় মহাজনদের সহায়তায় আবার দোকান নির্মাণ করেন। একই সঙ্গে শুরু করেন ধান, পাট, চাল, ডালের ব্যবসা। এক পর্যায়ে ব্যবসার প্রসারের জন্য আকিজ যশোরের নাভারন এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরম্ন করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাহের বিশ্বাস আকিজকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। আকিজ আর পেছনে ফিরে তাকাননি। তিনি কেবল সামনে তাকিয়েছেন। নাভারন পুরোনো বাজারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আজকের সবচেয়ে বড় বিড়ি তৈরির কারখানা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। এরপর ১৯৬০ সালে অভয়নগরে অত্যাধুনিক চামড়ার কারখানা এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ১৯৬৬ সালে ঢাকা টোবাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ, ১৯৭৪ সালে আকিজ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ১৯৮০ সালে আকিজ ট্রান্সপোর্টিং এজেন্সি লিমিটেড, ১৯৮৬ সালে জেস ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, ১৯৯২ সালে আকিজ ম্যাচ ফ্যাক্টরি লিমিটেড, ১৯৯৪ সালে আকিজ জুট মিল লিমিটেড, ১৯৯৫ সালে আকিজ সিমেন্ট কেম্পানী লিমিটেড, একই বছর আকিজ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড, ১৯৯৬ সালে আকিজ পার্টিকল বোর্ড মিলস লিমিটেড, ১৯৯৭ সালে আকিজ হাউজিং লিমিটেড, ১৯৯৮ সালে সাভার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ২০০০ সালে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, একই বছর আকিজ অনলাইন লিমিটেড, নেবুলা লিমিটেড, ২০০১ সালে আকিজ কর্পোরেশন লিমিটেড, আকিজ ইন্সটিটিউট এন্ড টেকনলজি লিমিটেড, ২০০৪ সালে আকিজ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ২০০৫ সালে আকিজ পেপার মিলস্ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে কিংবদন্তির নায়কে পরিনত হন।
সমাজসেবক আকিজ উদ্দিন:
ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সেখ আকিজ উদ্দিন সমাজ সেবায় নিজেকে যুক্ত করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানব কল্যাণে তিনি যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া ছাড়াও ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে মুক্ত হাতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ২০০০ সালে যশোরে ভয়াবহ বন্যায় আকিজ ত্রান নিয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন শার্শা-ঝিকরগাছা এলাকায়। এ সময় তিনি নিজে তদারক করে প্রায় এক কোটি টাকার ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছেন। এ প্রসঙ্গে বেনাপোলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সি এন্ড এফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মতিয়ার রহমান বলেন, “আকিজ সাহেবের সাথে আমি ১৯৭৮ সাল থেকে ব্যবসা করছি। তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন। ২০০০ সালে বন্যায় তার অবদানের কথা আমরা কোনোদিন ভুলবো না। তিনি আমাদের জন্য আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মসজিদ নির্মাণ করেছেন। স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা গরীবের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এ কারণে হাজার হাজার মানুষ তার জানাযায় অংশ নিয়েছেন”। আকিজ উদ্দিনের অন্যতম সৃষ্টি হচ্ছে আদ্ব-দীন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ট্রাস্ট দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও আরও কিছু জেলায় মানব কল্যাণ, স্বাস্থ্য সেবা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখেছে। এছাড়া তিনি ১৯৮৯ সালে আদ্ব-দীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার, ২০০৪ সালে আদ্ব-দীন ফাউন্ডেশন, ১৯৮০ সালে আদ্ব-দীন শিশু কিশোর নিকেতন, ১৯৮৫ সালে আদ্ব-দীন নার্সিং ইন্সটিটিউট, আদ্ব-দীন ফোরকানিয়া প্রজেক্ট, ১৯৯২ সালে আকিজ কলেজিয়েট স্কুল, ১৯৯৮ সালে সখিনা স্কুল ফর গার্লস প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন রকম সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন।
পারিবারিক জীবন:
কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও সেখ আকিজ উদ্দিন খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজের জীবন অভিজ্ঞতার আলোয় তিনি তাদের আলোকিত করেছেন। আকিজের ১৫ সন্তান। ১০ ছেলে ৫ মেয়ে। বড় ছেলে ডা. শেখ মহিউদ্দিন আদ-দ্বীনের নির্বাহী পরিচালক। এছাড়া শেখ মোমিন উদ্দিন, শেখ আফিল উদ্দিন, শেখ আমিন উদ্দিন, আজিজ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, বশির উদ্দিন, জামিল উদ্দিন আকিজ শিল্প গ্রুপের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন। সেখ আফিল উদ্দিন ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত। ছোট দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও শামিম উদ্দিন লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ছেলেদের শিক্ষা দেওয়াই শুধু নয় তাদের নামের বানানের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এনেছেন আকিজ উদ্দিন। ৫ মেয়ে সকিনা, শাহিনা, আখি, নাজমা ও নাসিমা। এরা সবাই বিবাহিত। ১৫ সন্তান, স্ত্রী, ৫০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী, হাজার হাজার শুভাকাঙ্ক্ষী, গুনগ্রাহী রেখে ৭৭ বছর বয়সে সেখ আকিজ উদ্দিন গত ১০ অক্টোবর ২০০৬ ইন্তেকাল করেন। আকিজ উদ্দিনের বড় ছেলে শেখ মহিউদ্দিন বাবার জীবন সংগ্রাম খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি তার বাবা সম্পর্কে বলেন, বাবার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ছিল না ঠিকই, তারপরও তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছিলেন। আমরা সন্তানরা ছাড়াও তার প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক এমবিএ উচ্চ শিক্ষিত মানুষ জ্ঞান অর্জন করে। তিনি তার জীবন যাপনের বাস্তব জ্ঞানে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। তার দুরদর্শিতার কারণেই আজ আকিজ গ্রুপ দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেশে বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। আকিজ উদ্দিনের আরেক সন্তান সেখ আফিল উদ্দিন বাবার স্মৃতিচারন করে বলেন, বাবার মধ্যেকোনো আত্মঅহমিকাবোধ ছিল না। তিনি তার বিরুদ্ধের লোকদেরই আপন করে নিতেন। তিনি সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতেন। আকিল আরো বলেন, নিজে সাধারণ জীবনের যাপনের পাশাপাশি আমাদেরও প্রাচুর্যের মধ্যে নয়, খুব সাধারণভাবে মানুষ করেছেন। যে কোনো নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় ব্যবসার লাভ ক্ষতির হিসাব করে অদ্ভুত এক দূরদর্শিতায়। তিনি আগামীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রকল্পকে সফল করে তুলতেন। সততা, ধৈর্যশীলতা, নিজস্ব মেধা, সহনশীলতার কারণেই তিনি আকিজ গ্রুপকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছেন। আদ-দ্বীনের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম মুকুল আকিজ উদ্দিন সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, স্যার খুব কম কথা বলতেন। সাধারণ জীবন যাপনের পাশাপাশি তিনি আমাদের কথা শুনতেন। আদ্ব-দীন সম্পর্কে সব সময় খোজ-খবর নিতেন। তার ভাবনা ছিল আদ-দ্বীনের কর্মকান্ড সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার।
কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও সেখ আকিজ উদ্দিন খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজের জীবন অভিজ্ঞতার আলোয় তিনি তাদের আলোকিত করেছেন। আকিজের ১৫ সন্তান। ১০ ছেলে ৫ মেয়ে। বড় ছেলে ডা. শেখ মহিউদ্দিন আদ-দ্বীনের নির্বাহী পরিচালক। এছাড়া শেখ মোমিন উদ্দিন, শেখ আফিল উদ্দিন, শেখ আমিন উদ্দিন, আজিজ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, বশির উদ্দিন, জামিল উদ্দিন আকিজ শিল্প গ্রুপের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন। সেখ আফিল উদ্দিন ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত। ছোট দুই ছেলে জসিম উদ্দিন ও শামিম উদ্দিন লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ছেলেদের শিক্ষা দেওয়াই শুধু নয় তাদের নামের বানানের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এনেছেন আকিজ উদ্দিন। ৫ মেয়ে সকিনা, শাহিনা, আখি, নাজমা ও নাসিমা। এরা সবাই বিবাহিত। ১৫ সন্তান, স্ত্রী, ৫০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী, হাজার হাজার শুভাকাঙ্ক্ষী, গুনগ্রাহী রেখে ৭৭ বছর বয়সে সেখ আকিজ উদ্দিন গত ১০ অক্টোবর ২০০৬ ইন্তেকাল করেন। আকিজ উদ্দিনের বড় ছেলে শেখ মহিউদ্দিন বাবার জীবন সংগ্রাম খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি তার বাবা সম্পর্কে বলেন, বাবার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ছিল না ঠিকই, তারপরও তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছিলেন। আমরা সন্তানরা ছাড়াও তার প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক এমবিএ উচ্চ শিক্ষিত মানুষ জ্ঞান অর্জন করে। তিনি তার জীবন যাপনের বাস্তব জ্ঞানে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন। তার দুরদর্শিতার কারণেই আজ আকিজ গ্রুপ দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ হিসেবে দেশে বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। আকিজ উদ্দিনের আরেক সন্তান সেখ আফিল উদ্দিন বাবার স্মৃতিচারন করে বলেন, বাবার মধ্যেকোনো আত্মঅহমিকাবোধ ছিল না। তিনি তার বিরুদ্ধের লোকদেরই আপন করে নিতেন। তিনি সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতেন। আকিল আরো বলেন, নিজে সাধারণ জীবনের যাপনের পাশাপাশি আমাদেরও প্রাচুর্যের মধ্যে নয়, খুব সাধারণভাবে মানুষ করেছেন। যে কোনো নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় ব্যবসার লাভ ক্ষতির হিসাব করে অদ্ভুত এক দূরদর্শিতায়। তিনি আগামীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রকল্পকে সফল করে তুলতেন। সততা, ধৈর্যশীলতা, নিজস্ব মেধা, সহনশীলতার কারণেই তিনি আকিজ গ্রুপকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছেন। আদ-দ্বীনের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম মুকুল আকিজ উদ্দিন সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, স্যার খুব কম কথা বলতেন। সাধারণ জীবন যাপনের পাশাপাশি তিনি আমাদের কথা শুনতেন। আদ্ব-দীন সম্পর্কে সব সময় খোজ-খবর নিতেন। তার ভাবনা ছিল আদ-দ্বীনের কর্মকান্ড সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার।